ঔপনিবেশিক অর্থ কি? ঔপনিবেশিক শাসন বলতে কি বুজায়?
কোনো আধিপত্যশীল দেশ যখন অন্য দেশের ওপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা এবং নিজস্ব স্বার্থ হাসিলের জন্য দখলকৃত দেশের জনগনকে শোষণ ও লুণ্ঠন করে তখন সে শাসনব্যবস্থাকে বলা হয় ঔপনিবেশিক শাসন।
সহজ ভাষায় 'বৈদেশিক শক্তির দ্বারা কোন দেশকে দখল করার মাধ্যমে সেই দেশের জনগণকে অন্যায়ভাবে শোষন এবং সম্পদ নিজ দেশে পাচার করার অনুশীলনকে বলা হয় ঔপনিবেশিক শাসন।
ঔপনিবেশিক অর্থ কি?
যে অনুশীলনের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী দেশ সরাসরি তুলনামূলক দূর্বল দেশকে নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের সম্পদ ব্যবহার করে নিজস্ব ক্ষমতা এবং সম্পদ বৃদ্ধি করে তাকেই ঔপনিবেশিক বলা হয়।
যেমন -
ব্রিটিশ >>> ভারতবর্ষ
ব্রিটিশরা - Colonizer;
ভারতবর্ষকে করেছে - Colonized;
এই প্রক্রিয়াটি হল - Colonization;
এঅঞ্চলের মানুষ - Colonial people;
ঔপনিবেশিক শাসন:
কোনো দেশের ওপর নিয়ন্ত্রন বিস্তারের মাধ্যমে দখল করাকে বলে দখলদারদের উপনিবেশ স্থাপন। এক্ষেত্রে ভারতবর্ষে ব্রিটিশরা উপনিবেশ স্থাপন করেছিল। আর এই উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে কায়েম করা শাসন ব্যবস্থাকে বলা হয় ঔপনিবেশিক শাসন।
ঔপনিবেশক শক্তি সাধারণত উপনিবেশকৃত দেশগুলোতে নিজস্ব অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক নীতি এবং চর্চা চাপিয়ে দেয়ার মাধ্যমে সে দেশ এবং সেখানকার মানুষকে জোরপূর্বক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে থাকে।
ঔপনিবেশিক শাসনের বৈশিষ্ট্য:
ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থার অন্যতম মূল উদ্দেশ্যই হল, ঔপনিবেশিক দেশের সম্পদ নিজ দেশে পাচার করার মাধ্যমে নিজ দেশের উন্নয়নে কাজে লাগানো।
ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য হল দখলদার বা আগ্রাসনকারী শক্তি কখনোই চিরস্থায়ী শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারে না বরং শাসনামলেই দখলকৃত দেশ থেকে সম্পদ নিজ দেশে পাচার করে নেয়া। সাধারণত আগ্রাসনের শিকার হওয়া দেশের মানুষ যখন আগ্রাসন বিস্তারকারী শাসকের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার হয়, বিক্ষোভ শুরু করে, তখন সাধারণত এসব উপনিবেশ স্থাপনকারী দেশ নিজ দেশে ফিরে যায়।
ঔপনিবেশিক শাসনের পটভূমি:
ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে পর্তুগীজরা সর্বপ্রথম ব্যবসার উদ্দেশ্যে ভারতবর্ষে আসেন ১৫০৫ সালে। এর পর ডাচ বণিকগণ (১৬০৫ সালে), ব্রিটিশ বণিকগণ (১৬১২ সালে), ডেনিশ ব্যবসায়ীরা (১৬২০ সালে), ফরাসী ব্যবসায়ীগণ (১৭৬৯ সালে) এই উপমহাদেশে ব্যবসার উদ্দেশ্যে আসেন। ব্যবসা তাদের মূল উদ্দেশ্য হলেও পরবর্তীতে এঅঞ্চলে তাদের সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক প্রভাব বাড়তে থাকে।
পরবর্তীতে ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে জয় লাভের পর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ধীরে ধীরে বাংলায় তাদের শাসন ক্ষমতা লাভ করে, যা পরবর্তীতে ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিপ্লবের পর বাংলার শাসনক্ষমতা সরাসরি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের হাতে চলে যায়। ঔপনিবেশিক শাসনামলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণাধীন একজন ভাইসরয় এর সাহায্যে এই অঞ্চলের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হতো।
বঙ্গভঙ্গের ফলশ্রুতিতে ১৯০৫ হতে ১৯১১ সাল পর্যন্ত পূর্ববঙ্গ ও আসামকে নিয়ে একটি নতুন প্রদেশ বাংলা গঠিত হয়েছিল, যার রাজধানী করা হয়েছিল ঢাকা। তবে কলকাতা-কেন্দ্রিক রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের চরম বিরোধিতার ফলে ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ হয়ে যায়।
১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে ভারতীয় উপমহাদেশকে ভাগ করা হয়। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলকে করা হয় ভারত এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশকে করা হয় পাকিস্তান। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কান্ড আর কোথাও ঘটেনি।
উপনিবেশিক ইতিহাসে, ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ করার নজির বিশ্ববাসী আর কোনটি দেখেনি। ঔপনিবেশিকতা যে কতটা ভয়াবহ হতে পারে তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে আছে এই ভারতীয় উপমহাদেশীয় অঞ্চল।
Grammar
Read More
- Tea Stall - Paragraph for HSC and SSC
- School Magazine - Paragraph for HSC and SSC
- Load Shedding - Paragraph for HSC and SSC
- National Flag - Paragraph for HSC & SSC
- Mobile Phone - Paragraph for HSC & SSC
- Digital Bangladesh - Paragraph for HSC and SSC
- Internet - Paragraph for HSC & SSC
- Diaspora - Paragraph for SSC and HSC
- Dengue Fever - Paragraph for SSC and HSC
- Adolescence - Paragraph for SSC & HSC