IELTS নাকি TOEFL - কোন পরীক্ষাটি দিবেন?

  (5/5, 1 vote)

আন্তর্জাতিকভাবে ইংরেজি ভাষা ব্যবহারে দক্ষতা যাচাইয়ের অন্যতম দুটি উপায় IELTS এবং TOEFL। উচ্চশিক্ষা এবং ইমিগ্রেশনের ক্ষেত্রে এ দুটি পরীক্ষা পদ্ধতিই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য হবার কারণে কোনটির পরীক্ষা দিতে হবে সেটি অনেকেই বুঝতে পারে না। তবে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া সহ কিছু দেশের ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে IELTS এর স্কোর চাওয়া হয়ে থাকে। 

কোন পরীক্ষা দেবেন তা নির্ণয় করাঃ

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে বিবেচনায় রেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত কোন পরীক্ষাটি আপনি দিতে চান , IELTS অথবা TOEFL। যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে IELTS পরীক্ষা কার্যক্রম সরাসরি তত্ত্বাবধান করা হয়, অন্যদিকে আমেরিকার ETS (educational testing services) TOEFL পরীক্ষা কার্যক্রমকে পরিচালনা করে।

TOEFL পরীক্ষা একধরনের হয়ে থাকে, IELTS পরীক্ষা সাধারণত ২ ধরনের হয়ে থাকে- Academic/General IELTS। 

পরীক্ষার উদ্দেশ্য বা purpose:

ইংরেজি ভাষা ব্যবহারে দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষা দেবার উদ্দেশ্য যদি হয় উচ্চশিক্ষা তবে Academic IELTS কিংবা TOEFL for academic English দুটির যেকোন একটি পরীক্ষাতেই কাজ হবে। তবে পরীক্ষার উদ্দেশ্য যদি হয় Immigration , তবে শুধুমাত্র General IELTS পরীক্ষাটিই হতে পারে সহজতর এবং কার্যকর উপায়। 

ব্রিটিশ / আমেরিকান vocabulary, idiomatic expressions:

British/ Australian English- এর সঙ্গে অভ্যস্তদের জন্য IELTS একটি ভালো উপায়। কেননা IELTS এ British English এর vocabulary, idiomatic expressions এর প্রয়োগ বেশি হয়ে থাকে।

অন্যদিকে American English এ অভ্যস্তদের জন্য TOEFL পরীক্ষা দেয়া সহজতর কেননা এক্ষেত্রে American English এর idiomatic expressions এবং vocabulary’র প্রয়োগ বেশি হয়।

Typing speed:

যারা দ্রুত টাইপ করতে পারেন না , তাদের জন্য TOEFL এর লিখিত অংশে ভালো স্কোর অর্জন করা কষ্টসাধ্য হবে, কেনোনা TOEFL এর লিখিত অংশের Essays এর অংশটি টাইপ করে উত্তর দিতে হয়।

যাদের টাইপিং স্পিড সাধারন মানের, তাদের জন্য IELTS পরীক্ষা দেয়া উত্তম, কেনোনা এখানে লিখিত অংশে হাতে লিখেও উত্তর দেবার সুযোগ থাকে।

পরীক্ষার সময়ঃ

যারা লম্বা সময় ধরে পরীক্ষা দিতে অসুবিধা বোধ করেন না তারা IELTS বা TOEFL এর যেকোন একটিতে অংশগ্রহন করতে পারেন।

তবে যারা অল্প সময়ের মধ্যে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে চান, তাদের জন্য IELTS দেয়া সুবিধাজনক, কেননা IELTS পরীক্ষা ২ ঘন্টা ৪৫ মিনিটের হয়ে থাকে। অন্যদিকে TOEFL পরীক্ষা প্রায় ৪ ঘন্টা ধরে হয়ে থাকে।

প্রশ্নের ধরণের বৈচিত্র্য এবং বিস্তৃতিঃ

TOEFL পরীক্ষায় multiple-choice questions হয়ে থাকে। অন্যদিকে IELTS পরীক্ষাতে multiple choice, gap fill, matching exercises সহ নানা ধরনের প্রশ্ন করা হয়ে থাকে।

 নোট টুকে রাখার দক্ষতাঃ

IELTS এবং TOEFL উভয়ক্ষেত্রেই নোট টুকে রাখার দক্ষতা আবশ্যক। তবে TOEFL এর listening section এ লম্বা সময় ধরে চলা অডিও সেকশনের শেষে উত্তর দিতে হয়, যা IELTS এর ক্ষেত্রে শুনতে শুনতে উত্তর দেয়া সম্ভব। 

 

TOEFL এবং IELTS পরীক্ষা Reading, Listening, Writing, Speaking ৪টি আলাদা ভাগে হয়ে থাকে। নিচের ছকে এদের পার্থক্য উল্লেখ করা হলঃ

Section

TOEFL

IELTS

Reading

→   ৩-৫ টি রিডিং সেকশন,

→   একাডেমিক রিডিং ম্যাটেরিয়াল,

→   প্রতিটি সেকশনের জন্য ২০ মিনিট করে সময় বরাদ্দ থাকে,

→   multiple-choice questions

→   ৩টি রিডিং সেকশন,

→   একাডেমিক/ জেনারেল রিডিং ম্যাটেরিয়াল,

→   প্রতিটি সেকশনের জন্য ২০ মিনিট করে সময় বরাদ্দ থাকে,

→   fill the gap, multiple-choice questions, matching ইত্যাদি।

Listening

→   ৪০-৬০ মিনিটের লেকচার/ ক্যাম্পাস কনভার্সেশন,

→   প্রায় ৪০ টির মতো উত্তর দিতে হয় 

→   নোট টুকে রেখে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।

→   ৩০ মিনিটের মধ্যে ৪০ টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়,

→   অডিও রেকর্ডিং শুনতে শুনতে উত্তর দিতে হয়,

→   উত্তরপত্রে উত্তর তুলতে অতিরিক্ত ১০ মিনিট সময় থাকে,

→   বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন থাকে।

Writing

→   ২টি পৃথক ভাগ থাকে,

→   প্রথম ভাগে,  ৫টি প্যারাগ্রাফের ৩০০-৩৫০ শব্দের প্রবন্ধ লিখতে হয়,

→   দ্বিতীয় ভাগে, নির্দিষ্ট একটি বিষয় সংক্রান্ত টেক্সট এবং লেকচারের অডিওর সমন্বয় করে ১৫০-২২৫ শব্দের মধ্যে একটি প্রবন্ধ লিখতে হয়,

→   পুরো পরীক্ষা টাইপ করে দিতে হয়।

→   ২টি পৃথক ভাগ থাকে,

→   প্রথম ভাগে ২০০-২৫০ শব্দের মধ্যে সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধ,

→   দ্বিতীয় ভাগে গ্রাফ, চার্ট সমেত একটি ইনফোগ্রাফ থেকে তথ্য নিয়ে প্রবন্ধ আকারে উপস্থাপন করতে হয়।

→   হাতে লেখা এবং টাইপ করে পরীক্ষা দেবার সুযোগ থাকে।

 Speaking

→ ২০ মিনিট ধরে পরীক্ষা হয়

→  ৬টি পৃথক প্রশ্নের উত্তর সংক্ষিপ্ত বিবরণ বা কথোপকথনের সাহায্যে দিতে হয়,

→   উত্তরগুলোকে কম্পিউটারে রেকর্ড করতে হয়।

→   ১২-১৪ মিনিট ধরে পরীক্ষকের উপস্থিতিতে হয়ে থাকে,

→   ১ম ধাপে, সাধারন বিষয় নিয়ে কথোপকথন করতে হয়,

→   ২য় ধাপে, নির্ধারিত টপিক থেকে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আলোচনা করতে হয়,

→   সর্বশেষ ধাপে বিষয় সংক্রান্ত আলোচনা এবং বক্তব্য উপস্থাপন করতে হয়।

পরীক্ষার প্রশ্নের ধরণ, মান যাচাই পদ্ধতি ভিন্ন হওয়ার কারণে IELTS এবং TOEFL, দুটি পরীক্ষার যেকোন একটিতে অংশগ্রহনের ক্ষেত্রে উপরোক্ত আলোচনার বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হলে ইংরেজি ভাষা ব্যবহারে দক্ষতা যাচাইয়ে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করা সহজতর হয়ে যায়।

 

Published By
About us  | Privacy Policy | Terms of Service
© 2024 grammarbd.com All Rights Reserved.