দরখাস্ত বা আবেদনপত্র কি? দরখাস্ত লেখার নিয়ম
দরখাস্ত বা আবেদনপত্র কি?
একটি নির্দিষ্ট গঠন কাঠামো- নিয়ম অনুসরণ করে কর্তৃপক্ষের কাছে সুনির্দিষ্ট কোন বিষয় নিয়ে যে পত্রের মাধ্যমে আবেদন করা হয়, তাদেরকে দরখাস্ত বা আবেদনপত্র বলা হয়ে থাকে।
বিভিন্ন বিষয়ে আবেদন করার ক্ষেত্রে আমরা এধরনের পত্রের ব্যবহার করে থাকি। প্রাতিষ্ঠানিক, দাপ্তরিক নানা প্রয়োজনে- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নানা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের করা দরখাস্ত, অফিসে ছুটির জন্য আবেদন, চাকরির আবেদন পত্র সহ নানা বিষয়ে এধরনের পত্র লেখা হয়ে থাকে।
দরখাস্ত লেখার নিয়ম
আবেদন পত্র বা দরখাস্ত একটি formal বা আনুষ্ঠানিক পত্র। এজন্য এটি লেখার ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট নিয়মাবলী অনুসরণ করতে হয়। কেননা সুনির্দির্ষ্ট নিয়মাবলী অনুসরণ না করলে , অনেকাংশেই আবেদন করা এই পত্রটি অকার্যকর বা বাতিল হিসেবে গণ্য হয়ে যাতে পারে।
- সবার প্রথমে, বাম পাশে তারিখ লিখতে হয়
- এরপর কর্তৃপক্ষ বা প্রাপকের নাম, পদবী এবং ঠিকানা লিখতে হবে
- যার নিচে যাবে আবেদন এর বিষয় লিখতে হবে।
- বিষয় লেখার নিচে সম্ভাষণ, (মহোদয়, জনাব, মহাশয়) লিখতে হয়।
- এরপর আবেদনপত্রটির মূল অংশ, এখানে বিষয়সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট এবং সংক্ষিপ্ত আকারের গঠনমূলক বর্ণনা করতে হয়
- আপনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা লেখার পর নিচে বিনীত/নিবেদক কথাটি লিখতে হয়।
- এরপর প্রেরক বা আবেদনকারীর নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
- সর্বশেষে আবেদনপত্রটি একটি সুন্দর খামের মধ্যে রেখে কর্তৃপক্ষ বা প্রাপকের নিকট পাঠাতে হয়।
দরখাস্ত কাঠামোঃ
দরখাস্ত লেখার ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামো রয়েছে, যা ব্যতীত আবেদনপত্র তার চিরচেনা রূপ হারিয়ে ফেলে। এজন্য এধরনের আনুষ্ঠানিক পত্র লেখার সময় এই সুনির্দিষ্ট কাঠামো অনুসরণ করা অত্যাবশ্যক।
তারিখ বরাবর কর্তৃপক্ষের নাম ঠিকানা
বিষয়ঃ
সম্ভাষণ, (মহোদয়, জনাব, মহাশয়, ইত্যাদি)
যথাযথ তথ্য সম্বলিত স্পষ্টভাবে বলা মূলবক্তব্য। (এক বা সর্বোচ্চ ২ প্যারা হতে পারে। ২য় প্যারায় মূল আবেদন এর বিষয়টিকে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করে দিতে হয়। )
বিদায় সম্ভাষণ, (বিনীত, নিবেদক) আবেদনকারীর নাম ঠিকানা |
আবেদনের বিষয় এর পার্থক্যের উপর এই কাঠামোতে কিছুটা পরিবর্তন হয়ে থাকে ।
মূলত আবেদন পত্রের মূল অংশের বক্তব্যের তারতম্যে মূলত পার্থক্যগুলো দৃষ্টিগোচর হয়।
আবার, কিছু ক্ষেত্রে নতুন কিছু তথ্যাদি সংযুক্ত হয়ে থাকে,
যেমনঃ চাকরির আবেদন পত্রে প্রার্থীর ব্যক্তিগত তথ্যাদি আবেদনকারীর নাম, ঠিকানা উল্লেখ করার পর সর্বশেষে যোগ করতে হয়।
তবে মূল কাঠামো হিসেবে উক্ত কাঠামোটিই সকল ক্ষেত্রে বিদ্যমান থাকে।
বর্তমানে ইমেইল এর আবির্ভাব অনেকাংশেই দরখাস্ত বা আবেদন পত্রের ব্যবহারকে সীমিত করে ফেলেছে। তবুও এখনকার formal ইমেইল, পুরাতন এই আবেদন পত্র বা দরখাস্তের মতো আনুষ্ঠানিক পত্রের গঠন শৈলীকেই অনুসরণ করে, বিবর্তিত হয়ে আজ এ অবস্থানে এসেছে।
আবেদন পত্রের গঠন বোঝার সুবিধার্থে, নিচে একটি sample সংযুক্ত করে দেয়া হল।
Sample - ছুটির দরখাস্ত
Grammar
Read More
- Tea Stall - Paragraph for HSC and SSC
- School Magazine - Paragraph for HSC and SSC
- Load Shedding - Paragraph for HSC and SSC
- National Flag - Paragraph for HSC & SSC
- Mobile Phone - Paragraph for HSC & SSC
- Digital Bangladesh - Paragraph for HSC and SSC
- Internet - Paragraph for HSC & SSC
- Diaspora - Paragraph for SSC and HSC
- Dengue Fever - Paragraph for SSC and HSC
- Adolescence - Paragraph for SSC & HSC